ফেনী: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ব্যস্ততম এলাকা মহিপালে বুদ বুদ করে বের হচ্ছে গ্যাস। দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে দিলেই জ্বলে উঠছে আগুন।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) মহিপাল এলাকার শাহীন হোটেলের সামনে গিয়ে দেখা যায় বহু মানুষের জটলা। জটলা ঠেলে গিয়ে দেখা গেলো মহাসড়কে জ্বলছে আগুন।
শাহীন হোটেলের ম্যানেজার আবদুল আলীম বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কের ওই অংশে অনেক আগে থেকেই এভাবে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হয়ে আসছিল। গত কয়েকদিন এটি আরও বেড়ে যায়। বাখরাবাদ গ্যাসকে বিষয়টি জানানোর পর গত কিছুদিন আগে তারা যেখানে গ্যাস বের হচ্ছিলো সেখানে বালু ফেলে যায়। এরপরে ওই স্থানে পানি পড়লে আবার বুদ বুদ করে গ্যাস উঠতে থাকে।
তিনি জানান, এভাবে গ্যাস বের হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মহিপাল এলাকার পরিবহন- শ্রমিক নেতা মামুন চৌধুরী জানান, ফেনী মহিপাল ফ্লাইওভার তৈরি হওয়ার সময় থেকেই মহিপালের এ অংশে গ্যাস লাইনের লিকেজে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে বার বার অবহিত করার পরও তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ইকবাল হোসেন নামে এক চালক জানান, মহাসড়কে এভাবে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হওয়া ও আগুন জ্বলা এটি নিরাপদ নয়, আমাদের কাছে ভয়ের কারণ এটি। আমরা সড়কে গাড়ি চালাই সিলিন্ডার গ্যাসে। মহসড়কে এভাবে গ্যাসের আগুন জ্বললে যেকেনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানিও।
এ বিষয়ে কথা হয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ফেনীর ম্যানেজার মো. সাহাবউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমরা বিষয়টি অবগত আছি এবং ওই স্থানটি আমরা পরিদর্শনও করেছি। এটা যেহেতু মহাসড়কের মধ্যে তাই সড়ক খুঁড়তে হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমিত ও সহযোগিতার বিষয় রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাদের কাছ থেকে সাড়া পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।
সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনও করেছি। ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রেখে কীভাবে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। আশা করি দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস