ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধী মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধী মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু

গাজীপুর: গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান (৭২) মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে তিনি মারা যান।

মাহবুবুর রহমান টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার রাইনহাটি এলাকার মৃত আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান। আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার ভোরে তার অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কারাগারের তার কয়েদি নম্বর- ৪৪১২/এ ছিল। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মুক্তিযদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকাণ্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে গত বছরের ২৭ জুন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৭ সালের ২ নভেম্বর তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করে বলেও জানান আব্দুল হান্নান খান।

এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা, থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যান্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।

 

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
আরএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।