ঢাকা: প্রায় দুই মাস ধরে চড়া ছিল শাক-সবজির বাজার। তবে এবার কিছুটা দাম কমেছে শাক-সবজির।
এদিকে সবজির দাম নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজি সরবরাহ থাকলেও দাম কমায় না বিক্রেতা, তবে বাজার মনিটরিং বাড়াতে দাম কিছুটা কমিয়েছেন তারা।
আর বিক্রেতা বলছেন, অভিযানে নয় সবজির সরবরাহ কিছুটা বাড়ায়, সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, খিলগাঁও বাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা এবং মগবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। আর কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি মানভেদে ঝিঙা-ধন্দুল-চিচিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিদরে।
দাম অপরিবর্তিত আছে কাঁচামরিচ, করলা, উস্তা, পটলের। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ৯০ টাকা, পটল ৭০ টাকা কেজিদরে।
প্রতিহালিতে ১০ টাকা কমে কাঁচাকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৪০ টাকা ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
সবজির দাম নিয়ে টিঅ্যান্ডটি বাজারের ক্রেতা মাসিম গুড্ডি জানান, বাজারে আগেও সবজি ছিল এখনও আছে, তবে বাজার মনিটরিং করায় কিছুটা দাম কমিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার মনিটরিং আরও জোরদার হলে শুধু সবজি নয় অন্য সব কিছুর দামও কমে আসবে।
টিঅ্যান্ডটি বাজারের সবজি বিক্রেতা বকুল বলেন, কোনো অভিযানের ফলে দাম কমেনি। বাজারে সবজির ঘাটতি ছিল এখন সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ এভাবে বাড়লে আরও দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
আগের বাড়তি দাম রয়েছে ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে। বাজারে খোলা ভোজ্যতেলের দাম কমার কথা থাকলেও তা আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ বাজারে প্রতিকেজি ডাবলী ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা আর চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা।
আগের চড়া দাম রয়েছে চালের বাজারে। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর গরু মাংস ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৬০০ টাকা কেজিদরে।
আগের দামে ব্রয়লার ও লেয়ার বিক্রি হলেও দাম কমেছে সোনালি মুরগির। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকায়।
কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।
বিক্রি কম হওয়ায় দেশি ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে বলে জানান খিলগাঁও বাজারের মুরগি বিক্রেতা বোরহান।
অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ টাকা, মিররর কাপ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর প্রতিকেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ ও আদার বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, দেশি কিং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা মিশরের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও চায়না পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিদরে।
দাম বেড়েছে দেশি রসুনের। বর্তমানে প্রতিকেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। আগের দামে প্রতিকেজি চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আর কেরালার আদায় কেজিতে ২০ টাকা দাম বাড়লেও আগের দামেই রয়েছে চায়না আদা।
এসব বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা কেরালা আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা ২৫০ টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২০
ইএআর/আরআইএস