ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
বাগেরহাটে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক

বাগেরহাট: বাগেরহাটে এক পোশাক শ্রমিককে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শেখ মিজানুর রহমান (৩৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার বাকপুরা ও হদেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃত শেখ মিজানুর রহমান বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে।

শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (১৯), নারায়ণ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) এবং মো. আনোয়ার ফকিরের ছেলে মো. সোহেল ফকির (২৩)।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ওই তরুণী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মী। পূজার ছুটিতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।  

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা দেখে যাত্রাপুর বাজারে নাস্তা করে রাতে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে বাকপুড়া মোড়ে পৌঁছালে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এতো রাতে কোথা থেকে আসছিস জিজ্ঞেস করে মেয়েটিকে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাখেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকপুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবনের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই তরুণীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যান মিজান। সেখান থেকে মেয়েটি একা একা হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার দিকে বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, মো. সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন একা পেয়ে তাকে হদেরহাট বাজারের আবুল হোসেনের ভবনের পেছনে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন।  

মেয়েটির বাবা-মা বলেন, এক বছর আগে আর্থিক কষ্টে মেয়েকে গার্মেন্টস এ কাজ করতে ঢাকায় পাঠাই। পূজার ছুটিতে বাড়িতে আসাই কাল হলো আমার মেয়ের। আমাদের মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করেছি। ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ  সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।