ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মন্ত্রিসভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের কার্যাবলীর প্রতিবেদন উপস্থাপন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
মন্ত্রিসভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের কার্যাবলীর প্রতিবেদন উপস্থাপন মন্ত্রিসভা বৈঠকের ফাইল ফটো

ঢাকা: মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৯-২০ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (০২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনা মহামারির কারণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ দশমিক ২৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল এশিয়া এমনকি বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি। কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী এক লাখ ২০ হাজার ৫৩ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

তিনি বলেন, সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে ১০ দমমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মহামারি সত্ত্বেও রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে কমে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শিল্পখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে চার থেকে পাঁচ শতাংশ সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আপামর জনগণের আর্থিক সহায়তার জন্য চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশের মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ১৫ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ২১ লাখে উন্নীত হয় এবং টেলিডেনসিটি ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশে এবং ইন্টারনেট ডেনসিটি ৬০ দশমিক ৩৪ শতাংশে উন্নীত হয়। দক্ষ, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও সচেতন মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার ৬১৮ জনকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে গড় সাক্ষরতার শতকরা হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে সংক্রমিত রোগীদের জন্য সাত হাজার ৬৩টি সাধারণ বেড, ২০২টি আইসিইউ এবং ৭৩টি ডায়ালাইসিস বেড, ১৮৬টি ভেন্টিলেটর, তিন হাজার ৪৫৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০২ হাইক্লোনেজাল ক্যানোলা এবং ৯৮টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণে ৫৮ হাজার ৮৭৬টি অভিযান পরিচালনা করে ১৬ হাজার ১৭৮টি মামলায় ১৭ হাজার ৪২জন আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।