ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিরাপদ পানির দুই লাখ উৎস স্থাপনের কাজ চলমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
নিরাপদ পানির দুই লাখ উৎস স্থাপনের কাজ চলমান

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭ উপজেলার এক হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে নিরাপদ পানির প্রায় দুই লাখ উৎস স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা বলেন তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী জানান, হাওর অঞ্চলের ৬টি জেলার ৫৪টি উপজেলার ৩৪০টি ইউনিয়নে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের লক্ষ্যে পৃথক একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া নতুন ১০০টি পুকুর খনন ও এক হাজার ৮টি পুকুর পুনঃখননের কার্যক্রম চলছে।

বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পানের সুযোগ পাচ্ছে। অর্থাৎ শতকরা দুইভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির সুবিধাবঞ্চিত জনগণ দূরবর্তী উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকার সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শতভাগ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আট হাজার ৮৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পল্লী এলাকায় উপযোগী প্রায় ৬ লাখ ‘সেফলি ম্যানেজড’ পানির উৎস স্থাপনের পাশাপাশি শহরের মতো গ্রামে পাইপলাইনে পানি সরবরাহ করতে ৪৯১টি রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম এবং আট হাজার ৮৩৮টি কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

২১ হাজার ৪৮০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে পানি সরবরাহ কাভারেজ শতভাগ উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে নলকূপের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য পানির উৎস যেমন পাতকুয়া, বৃষ্টির পানি ধারক, পুকুর পাড়ে বালির ফিল্টার ইত্যাদি স্থাপন করা হচ্ছে বলে সংসদে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।