ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জুয়েল হত্যা: চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
জুয়েল হত্যা: চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মো. সাহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।  

শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরের শালবন এলাকার নবী ভিলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

জুয়েলের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত থেকেও হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। উপরন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে। ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম মসজিদ থেকে সাহিদুন্নবী জুয়েলকে মারপিট করে শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু জুয়েল হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  

লিখিত বক্তব্যে এলাকাবাসীর পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী বলেন, কোরআন অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে জুয়েলকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয় নাই, পাষণ্ডরা মরদেহটি পর্যন্ত আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে। প্রকাশ্যে সংঘটিত এই ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। হামলাকারীরা উল্লাস করেছে। ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিও ধারণ হয়েছে। একটি সভ্য সমাজে আর গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসনের দেশে এমন ঘটনা বিস্ময়কর, অভাবনীয় ও গভীর উদ্বেগজনক।  

এ সময় জুয়েলকে কোরআন অবমাননার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা এবং জুয়েলের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।  

একই সঙ্গে নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার মুক্তাকে একটি সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া, জুয়েলের হত্যাকারী, খুনিরা যারা এখনো গ্রেফতার হয়নি, তাদের গ্রেফতারে চলমান প্রক্রিয়া জোরদার করা, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করা এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে জুয়েল হত্যার মামলাটি রংপুরে হস্তান্তর করার দাবি তোলেন নিহতের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলের স্ত্রী, দুই ছেলে মেয়ে, বোন ভাইসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সাহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জুয়েল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।