ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পুরোনো ব্যাটারি কেনার কথা বলে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অর্থ আদায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
পুরোনো ব্যাটারি কেনার কথা বলে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অর্থ আদায়

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে তিন ব্যবসায়ী প্রতারণার শিকার হয়েছেন‌ বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসার কথা বলে ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (২৯ নভেম্বর) মহানগরীর সিটি হাট বাইপাস এলাকায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা হলেন- সুমন আলী , আজাদ শেখ ও মিরাজুল ইসলাম। তারা অটোরিকশার পুরনো ব্যাটারির ব্যবসা করেন।

পাবনার বাংলাবাজার এলাকায় 'সোনার বাংলা' নামের একটি দোকান রয়েছে তাদের।

ভুক্তভোগী আজাদ শেখ জানান, রাজশাহীর একটি চক্র পুরোনো ব্যাটারি বিক্রির কথা বলে তাদের পাবনা থেকে আসতে বলে। কথা ছিল ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮০০ টাকার ব্যাটারি বিক্রি করা হবে। রোববার (২৯ নভেম্বর) তারা রাজশাহীতে আসলে চক্রটি তাদের মহানগরীর সাহেব বাজারে উত্তরা ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বরে টাকা জমা দিতে বলে। ওই হিসাবের নাম সাবানা বেগম। অগ্রিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চক্রটি তাদের তেরখাদিয়া খ্রিষ্টান পাড়ায় যেতে বলে।

পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের কয়েরদাঁড়া বিলপাড়া লেকসিটি এলাকায় ব্যাটারির গুদাম আছে বলে সেখানে যেতে বলা হয়। মিরাজুল ইসলাম ও তাদের ট্রাক ড্রাইভার সেখানে গেলে ৫ জন ব্যক্তি সিটি হাট বাইপাসের পূর্ব দিকে একটি বাগানের দিকে তাদের নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, বাগানে নেয়ার পর চক্রটির আরও ৫ সদস্য সেখানে আসে। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে সঙ্গে নিয়ে আসা টাকা দিয়ে যেতে বলে। এ সময় জোর করে তারা বেশ কিছু টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং চুক্তিকৃত সব টাকা নিয়ে আসার জন্য আজাদ শেখের কাছে ফোন দেয়।

বিষয়টি আজাদ শেখ আঁচ করতে পেরে আর কোন টাকা দেননি। এ সময় মিরাজুল ইসলাম ও ট্রাক ড্রাইভারকে বেঁধে জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠালে তাদের সিটি হাট বাইপাসে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে প্রতারণার শিকার হলেও সীমানা জটিলতার অজুহাতে মামলা নেয়নি পুলিশ। ফলে এখনও মামলা করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।  

ভুক্তভোগী মিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাকে জানালে তারা আমাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনের পর ঘটনাস্থল রাজপাড়া থানাধীন বলে জানান। পরে রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু রাজপাড়া থানাও ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন নয় বলে জানায়। সীমানা জটিলতার কারণে মামলা দায়ের করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থল বোয়ালিয়া থানার সপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সীমানার মধ্যে। তবে কোন থানা যদি এ ঘটনায় সীমানা জটিলতার কারণ দেখিয়ে অভিযোগ না নেয় তাহলে ভুক্তভোগীদের তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
এসএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।