ঢাকা: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুর ৪০তম দিন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মেহদি হাসান পলাশ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন একজন মানবদরদী মানুষ। তিনি দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ও নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের সেবায় এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটেছেন। তিনি কেবল নিজ দেশ ও তার দেশের জনগণের জন্যই কাজ করেননি, তিনি বিশ্বমানবতার জন্য কাজ করেছেন। বিশ্বের মজলুম মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার সময়ে মুসলিম দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ইরানের সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদতের ফলে কেবল ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মার নয়, সমগ্র ইসলামী উম্মার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মতো নয়। তিনি ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এর কারণেই তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের মানুষ কেঁদেছে। তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল।
বক্তারা বলেন, কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে সাধারণত ওই দেশটিতে সরকারিভাবে শোক পালন করা হয়। কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি শোক পালন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
টিআর/এফআর