ঢাকা: অগ্রহায়ণের শেষ। শুরু হয়েছে তীব্র শীত।
আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রকল্পের ১৫০ জন বিদেশি পরামর্শক, সেতু কর্তৃপক্ষের ২২ জন প্রকৌশলী ও তিন হাজার শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টায়।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান বসানোয় ৬ হাজার ১৫০ মিটার সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো। ৪১তম স্প্যান ‘টু-এফ’ সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের।
চীনের যে শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। সেই উহান শহরের কারখানায় তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর পিলার ব্যতীত অন্যান্য সব সরঞ্জাম। স্টিলের বড় বড় খণ্ড তৈরি করে বাংলাদেশে আনার পর মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্প্যান। এছাড়াও সেতুতে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণও চীনের উহান শহরের কারখানায় প্রস্তুত করে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে পুনরায় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে আসে বিশ্ব ব্যাংক।
কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হতে থাকে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র মূল্যায়ন করে পাঁচ দরদাতাকে বাছাই করে তা বিশ্ব ব্যাংকের অনাপত্তির জন্য পাঠানো হলেও সংস্থাটি তা ঝুলিয়ে রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
এসই/এমজেএফ