ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছত্রাকনাশক ওষুধে এক হাজার বিঘা জমির আলু নষ্ট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
ছত্রাকনাশক ওষুধে এক হাজার বিঘা জমির আলু নষ্ট 

রাজশাহী: ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পর রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অন্তত এক হাজার বিঘা জমির আলু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষকরা জানিয়েছেন, আলু ক্ষেতে ছত্রাক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তারা ‘এন্ট্রাকল’ নামের একটি ওষুধ স্প্রে করেছিলেন। এরপরই তাদের আলু গাছ হলদে হয়ে মরে যেতে শুরু করে। অনেকের আলু ক্ষেত একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এর কোনো সমাধান দিতে পারছেন না।

তানোরের চাষিরা উপজেলা সদরের ‘মেসার্স সৈয়ব আলী ট্রেডার্স’ থেকে এই ওষুধ কিনেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সৈয়ব আলী ওষুধ কোম্পানিটির পরিবেশক। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন চাষি তার কাছে ছুটে যান। তারা সৈয়ব আলীকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের কৃষক শামিম হোসেন জানান, এ বছর তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। সব ধরনের ছত্রাক আর মড়ক থেকে আলু গাছ রক্ষার জন্য শুক্রবার তিনি জমিতে ওষুধ স্প্রে করেন। শনিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন সব আলু গাছ পুড়ে গেছে।

আরেক চাষি আসমত আলী জানান, তিনিও এ বছর দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। তারও একই অবস্থা। তাদের এলাকার ৫০ থেকে ৬০ জন আলু চাষির অন্তত এক হাজার বিঘা আলুর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তারা এখন ক্ষতিপূরণ চান। নইলে মামলা করবেন।

ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘বেয়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির তানোরের পরিবেশক সৈয়ব আলীও কোনো কথা বলতে চাননি। ফোন ধরেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম।

জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আলু নষ্ট হয়েছে শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যেন ক্ষতিপূরণ পান সে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক যদি মামলা করতে চাইলে থানায় এলে আমরা মামলা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।