ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত দুই

ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত দুই প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জ: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন উভয়পক্ষের সংঘর্ষকারীরা।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাতে একজন ও অন্যজন মারা যান একইদিন দুপুরে। নিহতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের কাছা মিয়া (৭৫) এবং নূরুল হক (৫৫)। তাদেরকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় ১২ বছর ধরে আনোয়ারপুর গ্রামের আলাই মিয়া ও শফিক মিয়া পক্ষের মাঝে বিরোধ ছিল। পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার বেলা ১১টায় দুইপক্ষে সংঘর্ষ হয়। তখন শফিক মিয়া পক্ষের নূরুল হকের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। দুপুরে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একইদিন রাতে আলাই মিয়া পক্ষের কাছা মিয়াকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার আত্মীয়-স্বজন। কাছা মিয়ার হাত ও পায়ে এলোপাথাড়িভাবে টেটার (দেশীয় অস্ত্র) আঘাত ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। কাছা মিয়ার স্বজনদের দাবি, শফিক মিয়া পক্ষের লোকজন তাকে খুন করেছেন।

কিন্তু নিহতের শরীরে থাকা আঘাতগুলো প্রতিপক্ষের কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এবং গ্রেফতার এড়াতে দুইপক্ষের সকল পুরুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।

এ বাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দুইপক্ষের সংঘর্ষ হলে নূরুল হক মারা যান । কিন্তু দ্বিতীয় খুনটি কীভাবে হয়েছে তা শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের পক্ষের লোকেরাই কাছা মিয়াকে মেরে ফেলেছেন। এ নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক লোককে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।