ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকাশিত হলো করোনা বিষয়ক বই 'আমি করোনাভাইরাস বলছি'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
প্রকাশিত হলো করোনা বিষয়ক বই 'আমি করোনাভাইরাস বলছি' প্রকাশিত হলো করোনা বিষয়ক বই 'আমি করোনাভাইরাস বলছি'। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: দেশে-বিদেশে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু, উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং প্রতিরোধসহ করোনার নানা দিক তুলে প্রকাশিত হলো 'আমি করোনাভাইরাস বলছি' শীর্ষক গ্রন্থ। বইটি লিখেছেন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় আলোচক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান, অ্যধাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দীন শেখর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. কামরুল হাসান খান।

অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এই বইটিতে করোনা ভাইরাসের তাত্ত্বিক দিক আলোচনা করা হয়েছে। এই ভাইরাসের প্রকৃতি ও সংক্রমণ, বাংলাদেশ ও বিশ্বে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি, ভ্যাকসিন, বিভিন্ন নেতাদের করোনা প্রতিরোধে স্বার্থকতা ও ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলো উঠে এসেছে। বইটি লিখতে গিয়ে খেয়াল করেছি যে, আমাদের এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিকে বেশি করে নজর দেওয়া উচিত। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারার জন্য বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে এবং আমাদের করোনাসহ বিভিন্ন ফ্লুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, করোনা নিয়ে এমন তথ্যবহুল বই বাংলাদেশে এটাই সম্ভবত প্রথম। যারা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য একটি আদর্শ বই এটি। এই বইয়ে সাম্প্রতিক প্রায় সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। করোনা সম্পর্কে এটি একটি রেফারেন্স গাইড বই হিসেবে কাজ করবে।

তারা বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের নতুন করে সামাজিক শিক্ষা দিয়েছে। করোনায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের দেশের প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ করোনা থেকে সুস্থ্য হচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি খুবই সহজ, তবে মেনে চলা একটু কঠিন। এখন শীতের সময় আমাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শীত মৌসুমে শ্বাসনালী অন্য সময়ের তুলনায় শুকিয়ে থাকা, শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, বাতাস ঠান্ডা হওয়ায় ভাইরাসটির অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারা এবং ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়ায় এসময় এই ভাইরাস সহজেই আক্রমণ করতে পারে।

এসময় বক্তারা করোনা প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এইচএমএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।