ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বেজা’র সঙ্গে চুক্তিসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বেজা’র সঙ্গে চুক্তিসই

ঢাকা: অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুর্যোগ ও জলবায়ু নিরুপন, ঝুঁকি অবহিত বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, ঝুঁকি নিরুপন কৌশল নির্ধারণ, দুর্যোগজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে দ্রুত উৎপাদন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে সরকার।

এই লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কৃর্তপক্ষের (বেজা) মধ্যে বিজনেস কনটিউনিটি প্ল্যান (বিসিপি) বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বেজা’র আওতাধীন দুটো অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিসিপি পাইলটিং করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ ও বেজা’র মধ্যে সমঝোত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) নগরীরর এনইসি সম্মেলন কক্ষে কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন ও বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ইরফান শরীফ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বেজা’র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান আরিফ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিসিপি’র আওতায় বিসিপি’র কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য গাইডলাইন তৈরি এবং বিসিপি অনুশীলনে বেজা ও বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

ইউএনডিপি’র কারিগরী সহায়তায় কার্যক্রম বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম থেকে বিসিপি’র গাইডলাইন তৈরি ও পাইলটিং কাজে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় বিসিপি সংক্রান্ত একটি ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে বেজা ও কার্যক্রম বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে। চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগর এবং নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওতে অবস্থিত মেঘনা ইকোনমিক জোনে বিসিপি পাইলটিং করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগসহ সরকারের চারটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে।

বেজা’র নির্বাহী সদস্য বলেন, বেজার দৃষ্টি ভঙ্গি হচ্ছে,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীকে একটা আধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানের রুপ দেয়া। এছাড়া বাকি ১০০টি জোন তৈরি হচ্ছে, সেগুলোকেও এই পথ অনুকরণ অনুসরণ করা।  রিক্স এন্ড আনসার্টিনি কার্যক্রমটি দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হয়ত আলাদাভাবে করে কিন্তু ব্যাপক অর্থে বাংলাদেশের সমস্ত ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোকে এই ব্যাপারে সচেতন করে তোলা এবং কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার যে ব্যাপক আয়োজন সেটা আমি দেখি নাই। আজকেই সেটা প্রথম হতে যাচ্ছে এবং আমরাই প্রথমে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে বেজার জন্য এটা একটি স্মরণীয় দিন। ’

ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম এনালিস্ট আরিফ উদ দৌলা খান বলেন, বিসিপি’র ধারণাটি কিন্তু বাংলাদেশের জন্য নতুন। কোভিড-১৯ এ আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। জাতীয় পর্যায়ে এটা আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ।  একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমরা সবসময় মোকাবিলা করি প্রাইভেট সেক্টর নিয়ে। প্রাইভেট সেক্টরের একটা মাইন্ডসেট তৈরি হয়েছে। আমাদের  চিন্তা-ভাবনা এরকম যে, কোন দুর্যোগ সে রকম ক্ষতি করতে পারবে না। যেহেতু বাংলাদেশ বড় দুর্যোগ দেখে না, আর শহরে যেহেতু সে রকম ক্ষতি হয় না সেজন্য বুঝতে পারছে না। কিন্তু আমরাই একমাত্র এটি বুঝতে পারছি, যেমন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যেভাবে রোগ-বালাই বাড়ছে, এগুলো চিন্তা করেই বিজনেস কন্টিউনিটি প্ল্যান করা প্রয়োজন। প্রাইভেট সেক্টরের সবাইকে বিজনেস কন্টিউনিটি প্ল্যানের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এমআইএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।