ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

জনতার কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
জনতার কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন আতিক

ঢাকা: ‘জনতার মুখোমুখি নগরপিতা’ শিরোনামে নগরবাসীর সমস্যা শুনেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। নগরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের সঙ্গে অবৈধভাবে স্থাপিত ‘গেট’ এর সমস্যা শুনে সেগুলো অপসারণ করার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র।

মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন গেট অপসারণ করে সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন তিনি।  

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন অবৈধ গেট অপসারণে অভিযান শুরু করে করপোরেশন। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।  

অভিযানে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ১২ নম্বরগামী প্রধান সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে থাকা অবৈধ গেট অপসারণ করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মিরপুর ১১ নম্বর এবং সাড়ে এগারো নম্বর এলাকাসহ মোট পাঁচটি গেট ভেঙে ফেলা হয়। এসময় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় সেতারা টাওয়ার সংলগ্ন গেট ভাঙতে গেলে এর প্রতিবাদ করতে আসেন দক্ষিণ পল্লবী বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।  

নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর ভাই পরিচয় দেওয়া হারুন মোল্লাহ নামে এক জনৈক ব্যক্তি উক্ত গেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতিপত্র দেখতে চেয়ে চ্যালেঞ্জ করলে কোনো দলিল দেখাতে পারেননি সমিতির প্রতিনিধিরা।  

গেট অপসারণ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম সাকাপি বাংলানিউজকে বলেন, জনতার মুখোমুখি লাইভে এসে মেয়র মহোদয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। জনসাধারণের জন্য সিটি করপোরেশনের রাস্তা উন্মুক্ত থাকবে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই অভিযান। এখন পর্যন্ত পাঁচটি গেট উচ্ছেদ করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান বিকেল ৪টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অভিযান শেষে আমরা পূর্ণ আপডেট দিতে পারবো।  

গেট উচ্ছেদের পর আবার গেট করার প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, আবার এমন কেউ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মামলা দায়ের করা হবে। আপনারা জানেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা মতে, কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকা এলাকায় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, রাস্তার সামনে কোনো বাধা আছে বা পাবলিক নুইসেন্স রয়েছে তাহলে উনি লিখিত আদেশ দিয়ে এটা অপসারণ করতে পারেন। এটা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার।  

এদিকে এসব গেট অপসারণে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ এলাকাবাসী। অর্ণব মাহমুদ নামে পল্লবী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই গেট বন্ধ থাকে। যখন বাড়ি মালিক সমিতির কেউ যায় তখন খোলা হয়। আমরা যারা সাধারণ মানুষ এখানে থাকি বা এই এলাকার সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াত করি আমরা এই গেট ব্যবহার করতে পারি না। রিকশা বা গাড়ি নিয়ে চলে এলে সমিতির লোকজনদের ‘খুশি’ না করলে গেট খোলে না। এই গেট উচ্ছেদ করায় আমাদের উপকার হলো। সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ, মেয়রকে ধন্যবাদ।  

বিগত ১ ডিসেম্বর আয়োজিত ফেসবুক লাইভে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শাওন সোলায়মান অত্র এলাকার অবৈধ গেট নিয়ে মেয়রকে প্রশ্ন করলে গেট অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।