ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হৃদ্যতা বাড়ালে সন্তানরা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়াবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
হৃদ্যতা বাড়ালে সন্তানরা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়াবে না

ঢাকা: ধর্মের নামে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি ঘৃণ্য বিষয় মন্তব্য করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সবার সহযোগিতায় ধর্মীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের সন্তানের সঙ্গে পারস্পরিক হৃদ্যতা বাড়াতে হবে। পবিবারকে সময় দিতে হবে। সন্তানদের চলাফেরার প্রতি নজর দিতে হবে। তাহলে সন্তানেরা জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) জুম প্ল্যাটফর্মে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প আয়োজিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক গোপালগঞ্জ জেলার আন্তঃধর্মীয় কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ দেশে যে কোনো মূল্যে বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে মূলত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গেছেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের পৃথিবীতে যে দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যত বেশি নিরাপদ ও ভালো অবস্থায় আছে সে দেশকে ততটা সভ্য ও উন্নত দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়সমূহের কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আমরা একটি সভ্য দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের সমন্বয়ে বৈচিত্র্যময় এক শান্তিপ্রিয় দেশ। দেশের সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন, বিধি-বিধান স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে প্রতিপালনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের মানুষ ধর্মভীরু বা ধর্মের প্রতি সংবেদনশীল। জনগণের ধর্মের প্রতি এই আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশি-বিদেশী অপশক্তির মদদে গোষ্ঠীবিশেষ দেশকে নিয়ে সর্বদা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহিন, গোপালগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।