পাবনা (ঈশ্বরদী): ঘরহীন দুঃখী মানুষের পেটে থাকে না খাবার, গায়ে থাকে না শীত নিবারণের জন্য এক টুকরো গরম কাপড়। পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষরা কষ্টে থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।
পৌষের শুরুতেই পাবনার ঈশ্বরদীতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডা কাবু করে ফেলেছে জনজীবন। শীতার্ত দরিদ্র মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার পাবনার 'ঈশ্বরদী জংশন' স্টেশনে কনকনে শীতের মধ্যে মানুষের এ দুর্ভোগ চোখে পড়ে।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দুই নাম্বার প্লার্টফর্মে শীত নিবারণের জন্য হাড়কাঁপুনি শীতে ছিন্নমূল মানুষ শেষ সম্বলটুকু গায়ে জড়িয়ে জবুথবু হয়ে বসে কাঁপছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে এতথ্য জানিয়ে বলেন, দিনের বেলা সূর্যের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কনকনে ঠাণ্ডা থাকবে। মাসের শেষে তাপমাত্রা কমে শীত আরো বেশি পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের তিন নাম্বার প্লার্টফর্মে পান দোকানদার আবির হোসেন (৪০) বাংলানিউজকে জানান, সূর্যের আলোর তাপ কম, ঠাণ্ডা বাতাসে হাত পা অবশ হয়ে আসে। ঠাণ্ডায় কাজ করা যায় না। শীতের কারণে লোকজনের চলাচলও কম। শীতবস্ত্র না থাকায় ঈশ্বরদী প্লাটফর্মে থাকা বয়স্করা দারুণ কষ্টে আছেন। 'শীত যখন কম থাকে তখন সবাই কম্বল দিতে আসেন, বেশির সময় আসে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সরকারিভাবে ঈশ্বরদীত বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। পাবনা জেলা পরিষদ থেকে পরবর্তী কোনো সহযোগিতা পেলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
আরএ