রাজশাহী: পদ্মা নদীর নাব্যতা ফেরাতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে দিনব্যাপী সম্মেলনে রাজশাহী ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পরিবেশ কর্মীরা অনলাইন মাধ্যমে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর লাগাতারভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে হস্তচালিত টিউবওয়েল, এমনকি পাম্পেও পানি ওঠে না। পুকুর বা খালে খরা মৌসুমে পানি থাকে না। সেচকাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির অধিক ব্যবহারের কারণে ভূমির ওপরের স্তর লৌহ ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা দূষিত হচ্ছে। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনাতে বরেন্দ্র অঞ্চলে তিনটি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে জাইকার সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পদ্মার পানি দিয়ে সেচসুবিধা দেওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে ‘উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের’ সম্ভাব্যতা যাচাই করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৭৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি চাষাবাদ হবে। ফলে পরিবেশে ভারসাম্য ফিরে আসবে। এছাড়া পদ্মায় নব্য ফেরাতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে এখনই সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র রাজশাহী শাখা কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাপা’র সভাপতি জামাত খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জালাল উদ্দিন সরদার, অধ্যাপক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুল হক বাবু প্রমুখ।
এর আগে, বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এসএস/জেআইএম