ফেনী: ফেনী জেলা প্রশাসন অফিসে চৌকিদার-দফাদারদের পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে আসা এক ঠিকাদারকে বাধাদানসহ অপহরণের অভিযোগে সদরের শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানে আলমসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন আসামিদের কারাগারে পাঠান। এর আগে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
অপহৃত ঠিকাদার খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, গ্রাম পুলিশের পোশাক সরবরাহের জন্য ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিতে ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র দাখিল করতে রোববার সকালে ডিসি অফিসে যান। এ সময় সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন যুবক তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান এবং মোবাইল ও দরপত্রের কাগজ কেড়ে নেন।
এক পর্যায়ে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধ্যায় কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়। পরে মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া, সফিকুল ইসলাম সম্রাট, মো. সালা উদ্দিন, মো. রাসেল হোসেন, কামরুল হাসান সাব্বিরসহ অজ্ঞাত আরও দুই/তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়ন জাহানপুরের পাটোয়ারী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে সম্রাট (২৪), মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০), সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড়ের সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহাম্মদের ছেলে কামরুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩) ও ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়ার শাহাদাত হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেন (২৭)।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অপহৃত ঠিকাদার খলিলুর রহমান টাঙ্গাইলের ধরবাড়ী উপজেলার ইসপিরাজপুরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া। তিনি জানান, শর্শদির কোনো যুবক এতে জড়িত থাকতে পারে। তাই তাকে এতে জড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এসএইচডি/আরবি