ঢাকা: ‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মহাসড়ক ল্যান্ডস্কেপিং নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে যে জমি-জমা থাকবে সেগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই নীতিমালা।
তিনি জানান, মহাসড়ক করিডোর পরিকল্পনায় ল্যান্ডস্কেপিংয়ের বিষয় বিবেচনায় রেখে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। যেমন- রোড করবো তার পাশে পানি ব্যবস্থাপনা ও গাছ রোপণ করা যায়, ওই অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করবে। মহাসড়কের পাশে জ্বালানি সুবিধাও থাকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মহাসড়কের পাশে যে বৃক্ষরোপণ করা হবে সেগুলো বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে যেগুলো দীর্ঘজীবী এবং আমাদের সড়কের জন্য মানানসই হয়, কোনোভাবে যাতে গাছের পাতা-ডাল সড়কের মধ্যে না আসে এবং ওখান থেকে পানি না পড়ে।
ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই পরিবেশ, ঐতিহাসিক ভবন, প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য, জীব-বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ল্যান্ডস্কেপিংয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। রাস্তার মধ্যে যদি এমন কিছু পড়ে যেটা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাহলে যথা সম্ভব সেটা সেভ করে করতে হবে।
বনাঞ্চলে মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সংখ্যক বৃক্ষ অপসারণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে এবং সেক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় এনিমেল পাসের (প্রাণি চলাচল) সুবিধা রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, সড়কের পাশে একটা গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ রোপণ করতে হবে। যে এলাকায় যে গাছ মানানসই বন অধিদপ্তর থেকে সেটা ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
মহাসড়কে শেয়ারিং করে বৃক্ষরোপণ করা যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬০ ও ৪০ শতাংশের ভিত্তিতে করতে হবে। যে বৃক্ষরোপণ করবে সেই রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এএ