ঢাকা: লন্ডন থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতে তারা নিজ খরচে থাকবেন। হোটেলগুলোর এলাকা সংশ্লিষ্ট থানা দেখভাল করবে।
অন্যান্য দেশ থেকে আগত বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড সনদ আনার বাধ্যতামূলক যে ব্যবস্থা এখন চালু রয়েছে, তা বহাল থাকছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে জানাবেন তথ্যসচিব।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা সচিব মো. শহিদুজ্জামান, জননিরাপত্তা সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আলী নূর, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এতে অংশ নেন।
আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পরিদর্শক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালক, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক সভায় অংশ নেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে লন্ডন থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তবে কোন পদ্ধতিতে, কীভাবে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে তা নিয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি