ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যোগাযোগ রাখছি, ভ্যাকসিন পাবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২১
যোগাযোগ রাখছি, ভ্যাকসিন পাবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

তিনি বলেন, সেরামের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা ব্যহত হবে না, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তা মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে।  

ভারত সরকার দেশটি সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরাও বিষয়টি নিয়ে সকাল থেকে কাজ করছি। আমরাও জানতে পেরেছি। পুরোপুরি খবর আমরা এখনও অবহিত নই। আমরা ইতোমধ্যে বেক্সিমকো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের ভারতের মিশন দেশটির ফরেন মিনিস্ট্রির সঙ্গেও আলোচনা করেছে।

‘ওনারা আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তিটি ব্যাহত হবে না। ’

ভারত সব দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশ্বস্ত যে সমস্যা হবে না, সমাধান আশা করি হয়ে যাবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে অনার করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা সেটার উপরও আস্থা রাখি।

চুক্তি অনুযায়ী তাদের অর্ধেক টাকা পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১২০ মিলিয়ন ডলার তাদের দেওয়া হচ্ছে।

আরও ভ্যাকসিন সংগ্রহ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। চায়নিজ ভ্যাকসিন, রাশান ভ্যাকসিন এগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় আছে। এখনও তাদের ট্রায়াল শেষ হয়নি। তাদের ট্রায়াল শেষ হলে আমরা এগ্রিমেন্টে যাবো।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পেতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতে গত ৫ নভেম্বর সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ সরকার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে।

সমঝোতা অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অক্সফোর্ডের তৈরি সার্স-কভ-২ এজেডডি ১২২২ (অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রজেনিকা ভ্যাকসিন) [SARS-Cov-2 AZD 1222 (OXFORD/ASTRAZENECA VACCINE)] সরবরাহ করবে।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি হলে প্রথম দফাতেই তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। যখনই এটা তৈরি হবে তখনই বাংলাদেশকে প্রথম সুবিধামতো সময়ে দেবে। বেক্সিমকো এই ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা নেবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক সন্দীপ মোলায় এবং বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। সংসদ সদস্য ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নুর ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।