ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

ঢাকা: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে ডাক অধিদপ্তর। এ বিষয়ে একটি বিশেষ সিলমোহরও প্রকাশ করা হয়।


 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজ দপ্তরে বুধবার স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ক একটি সিলমোহর ব্যবহার করেন।
 
স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডেটা কার্ড ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্য জিপিও, প্রধান পোস্ট অফিসগুলো থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
 
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষে বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি দায়ের করা মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং মামলা’। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবেই বেশি পরিচিত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল।
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সাধারণ জনতা। প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খানের সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের ফলে সরকার প্রধান আইয়ুব খান সমগ্র পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করতে বাধ্য হয়। আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব আসামিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
 
এই মামলা ও মামলা থেকে সৃষ্ট গণ-আন্দোলনকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে প্রেরণাদানকারী অন্যতম প্রধান ঘটনা বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।