ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস’র ডেপুটি ডিরেক্টর ইউসুফ আল মামুনসহ অন্যরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭২৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭২৩ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী।

একইসময়ে আহতে হয়েছেন ৪৩৩ জন শ্রমিক। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৬ জন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস’র ডেপুটি ডিরেক্টর ইউসুফ আল মামুন এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উপস্থাপন করেন। পরিসংখ্যানটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিলস’র প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানা যায়-নির্মাণ খাতে ৮৪ জন, কৃষিখাতে ৬৭ জন, বিদ্যুৎখাতে ৩৫ জন, মৎস্যখাতে ২৭ জন, দিনমজুর ৪৯ জন, স্টিলমিল শ্রমিক ১৫ জন, নৌ-পরিবহন শ্রমিক ১৫ জন, মেকানিক ১৪ জন, অভিবাসী শ্রমিক ১৫ জন ও অন্যান্য খাতে ৬০ জন শ্রমিক নিহত হন।

পরিসংখ্যানে শ্রমিকদের নির্যাতনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সংবাদপত্রের জরিপ অনুযায়ী ২০২০ সালে ৫৯৬ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩১৬ জন শ্রমিক নির্যাতনের পর নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২২৯ জন। আর বিভিন্ন সেক্টরে সবমিলিয়ে ৫৯৩টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং আন্দোলন বেশি হয়েছে পোশাকখাতে।

সংবাদপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি জানিয়েছে, করোনা সংকটে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পেশা বদলাচ্ছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণায় প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। এছাড়া ছয়টি চিনিকল বন্ধ ঘোষণার কারণে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিলস’র ভাইস চেয়ারম্যান শিরীণ আখতার বলেন, আমরা গবেষণাসহ শ্রমিক অধিকার রক্ষায় রাস্তায় কাজ করছি। আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করলে শ্রমিকদের অধিকার আরও বেশি নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, এখানে যে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে তাতে আমরা শ্রমিকদের অবস্থা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক কেমন জানতে পারছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি সেক্টরে অসন্তোষ রয়েছে। এজন্য শ্রমিক অধিকার নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শ্রমিকদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ তাদেরকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে এবং জাতীয়  ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিলস’র সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল আমিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিলস’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল, সদস্য শাকিল আখতার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও লেবার রাইটস জার্নালিস্টের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।