গাজীপুর: গাজীপুরে জমি-জমার বিরোধের জেরে ব্যাটারি কারখানার শ্রমিক সুশান্ত চন্দ্র সরকার(২৫) খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
তার বড় ভাই বিকারণ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই স্থানীয় আ. করিমের ছেলে আবু তাহেরকে (৪৮) আহতবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাজীপুর সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় তার চিকিৎসা চলছে।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, পুরাতন ব্যাটারির কারখানায় চাকরিরত সুশান্ত মঙ্গলবার বিকেল পৌণে ৬টার দিকে স্থানীয় মন্ডলপাড়া বাজার থেকে গামছা কিনে ফিরছিল। পথিমধ্যে পিরুজালী মধ্যপাড়ার ল্যাঙ্গরার বাজারের পশ্চিম পাশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় মনসুর আলী গং ও তার ভাগ্নে তাইজুল ইসলামদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ চলছিল। এক পর্যায়ে মনসুরের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলিতে সুশান্ত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তবে ওই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে নিহত চাঁনমিয়ার ছেলে নুরুল ইসলামের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুর পৌণে ১টা পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করেনি।
জয়দেপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মনসুর আলী সম্প্রতি ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি কেনেন। ঘটনার দিন উভয় গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে মনসুর ফাঁকা গুলি করেছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ওয়ারিশিয়ান জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মামা-ভাগ্নেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার দু’দফা হামলা ও সংঘর্ষে ওই দু’জন নিহত হওয়া ছাড়াও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০