ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে বনভূমি দখলদার ১৬০৫৬৬ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
দেশে বনভূমি দখলদার ১৬০৫৬৬ জন

ঢাকা: সারাদেশে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন বনভূমি দখলদার রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। দখল করা এসব বনভূমি উদ্ধারে একটি প্ল্যান অব অ্যাকশন নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয় ৷ কমিটি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটি সদস্য পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম, মো. রেজাউল করিম বাবলু ও খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বন বিভাগের বেদখল হওয়া জায়গা ও দখলদারের একটি তালিকা উপস্থাপন করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক ০৬ একর সংরক্ষিত বনভূমির দখলদার ৮৮ হাজার ২১৫ জন এবং ৭২ হাজার ৩৫১ জনের দখলে দেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ দশমিক ৭৮ একর অন্যান্য বনভূমি।

কমিটি অবৈধভাবে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে একটি প্ল্যান অব ‍অ্যাকশন নিতে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান/কলকারখানা স্থাপনে যে বনভূমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে সুপারিশ করেছে।

কমিটি বন অধিদপ্তরের অধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা নিয়মিত তদারকি করতেও সুপারিশ করে।

আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১২৮৬টি অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর এসময়ে ২০০১টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করেছেন এবং ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া ৫৪২টি ইটভাটা উচ্ছেদ/আংশিক ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে সুন্দরবনে বর্তমানে ‌‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পটি ২৪৯৫ দশমিক ৬০৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রকল্পটি সুন্দরবন পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এ বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
এসকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।