ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুলছড়িতে ছুরিকাঘাতে নিহত আ. লীগ নেতার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
ফুলছড়িতে ছুরিকাঘাতে নিহত আ. লীগ নেতার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লাল মিয়া সরকারের (৬৫) মরদেহ নিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনগণ।
 
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ ফুলছড়ি উপজেলা সদরে আনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।


 
বিক্ষুব্ধ শত-শত মানুষ তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফুলছড়ি থানা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।  
 
এসময় নিহত লাল মিয়া সরকারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, লাল মিয়ার ছেলে মুরশিদ আলীসহ অনেকে। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত থাকার পরামর্শ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী।
 
ওসি কাওছার আলী বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মুরশিদ আলী বাদী হয়ে রাত ৮টার দিকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উড়িয়া ইউনিয়নের সাদেক খাঁ বাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন লাল মিয়া।  ওইদিন বিকেলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত লাল মিয়া সরকারের বাড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চন্দনস্বর গ্রামে। তিনি ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তিনি ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ লাল মিয়া সরকারের মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকারের পরিবারের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেন ও প্রতিবেশী উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য সাদেক খাঁর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ফুলছড়ি থানায় একাধিক মামলাও হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাল মিয়া বাড়ি থেকে ফুলছড়ি উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে উড়িয়া ইউনিয়নের সাদেক খাঁ বাজারে প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেন ও সাদেক খাঁর লোকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।