ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির

সাভার (ঢাকা): মানিকগঞ্জে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুলিশের হাতে সাভারে কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আশরাফুল আলম।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির দৈনিক মানবকণ্ঠের সাভার সংবাদদাতা ও অনলাইন রাইজিং বিডির প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা জেলার সাবেক সভাপতি।  

আরিফুল ঢাকার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিয়া উজ্জ্বল।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির জানান, গতকাল সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বন্ধু মাহবুবের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। তারা কয়েকজন মিলে রাত ১২টার দিকে বন্ধুর বাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এ সময় কিছু দূরে বন্ধু সুজনের এক স্বজনকে পুলিশ জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যাচ্ছে এমন ঘটনা দেখতে পান তিনি। পরে ঘটনার বিষয় সম্পর্কে জানতে এগিয়ে গেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরিফের কাছে জানতে চান, 'ওই দৌড়ায় আসতেছিস কেন?' পরে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, 'আপনি তুই তুকারি করে বলছেন কেন?' এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আসামি ছিনিয়ে নিতে চাস তুই? বলেই আরিফকে ধাক্কা দিতে থাকেন।

আরিফ বলেন, ‘আমি বারবার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও আমার শরীরে হাত তুলে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় এক কনস্টেবল ছুটে এসে আমার পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আটক করে সিএনজিতে তুলে থানায় ওসির কাছে নিয়ে যান। পরে অবশ্য ওসি পুরো বিষয় শুনে নিজে দুঃখ প্রকাশ করেন। ওসি আশরাফ পরে নিজের গাড়িতে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেন। ’

অভিযুক্ত সাটুরিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিয়া উজ্জ্বল বলেন, রাত ১২টা বাজে ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে যাই। অন্ধকারে ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছিলো না। ওই সময়ে সাংবাদিক আরিফ দৌড়ায় আসেন। আমি বলি, দৌড়ায় আসতেছেন, কে আপনি? মানে আমি যে পোশাক পড়া তা অন্ধকারে দেখা যায়নি। আমারে বলেন যে, তুই কেডা? আমি বললাম, আমিতো পুলিশ, আসামি ধরতে আসছি। পরে তিনি আসামি ছেড়ে দিতে বললে আমি ওনাকে থানায় যেতে বলি।  

সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি যতটুকু পেরেছি দু’জনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।