ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মশক নিধন অভিযানের ভুল জানাবেন আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
মশক নিধন অভিযানের ভুল জানাবেন আতিক মশক নিধন অভিযানের ভুল জানাবেন আতিক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কিউলেক্স মশা নিধনে চলমান সমন্বিত অভিযানে (ক্রাশ প্রোগ্রাম) যেসব ভুল হবে সেগুলো প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। অভিযান শেষে তৃতীয় পক্ষ কীটতত্ত্ববিদরা যে ভুল বের করবেন সেগুলো গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে জানাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাজধানীর ইব্রাহিমপুর এ অভিযান পরিদর্শনে এসে এমন মন্তব্য করেন ডিএনসিসি মেয়র।  

আতিক বলেন, আমরা দেখব এই দশ দিনের অভিযান শেষে কি ফল দাঁড়ায়। থার্ড পার্টির কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে জানাবে কি কি ভুল হয়েছে। আমি ভুলগুলো আপনাদেরকে জানাবো। এগুলো লুকানোর কিছু নেই। আমরা কীটনাশকের পরিমাণ (ডোজিং) নিয়ে চিন্তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে মশা নক ডাউন হচ্ছে না। ডোজিং বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলছি।  

আতিকুল ইসলাম জানান, এ অভিযান শেষ হলে মশক নিধন কর্মীদেরকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গতকাল যেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল সেখানে আজ মশার উপদ্রব কমে এসেছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৮ মার্চ) থেকে অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান শুরু করে সিটি করপোরেশন। শুক্রবার বাদ দিয়ে টানা ১০ দিন এই অভিযান চলবে।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে পাইকপাড়া, দক্ষিণ বিশিল গোদাখালি খাল, পাল পাড়া ঘাট বেড়িবাঁধ, দারুসসালাম ঈদগাহ মাঠে এলাকা পরিদর্শন করেন আতিকুল ইসলাম। একই দিন বিকেলে কচুক্ষেত ইব্রাহিমপুর খাল এলাকাও পরিদর্শন করেন তিনি।  

এসময় আতিক বলেন, গতকাল আমি সাগুফতা খালে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখেছি পয়োনিষ্কাশন লাইন খালের ভেতরে। এখানে একটা চ্যালেঞ্জ আমি দেখেছি। গতকাল সকালে আপনারা দেখেছেন ফগিং করেছি ফুটপাথের নিচে যে ড্রেন আছে সেখানে। কীটতত্ত্ববিদগণ আমাকে বলেছেন ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শহরের আনাচে কানাচে প্রচুর ডোবা আছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা যে পদ্ধতি এখন অবলম্বন করেছি এটা খুবই কষ্টসাধ্য। ডিএনসিসির অন্য নয়টি অঞ্চলের সকল মশক নিধন কর্মী, সকল যন্ত্রপাতি একটি অঞ্চলে নিয়ে এসেছি ব্যাপকভাবে, সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য। অভিযান শেষে প্রতিদিন রাতে আমরা মিটিং করছি অভিযানের পর্যালোচনা করতে।

মেয়র আরও বলেন, এখানে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের আরও আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ফুটপাতের নিচে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেখানে একটি টেকনিক্যাল ভুল আছে। ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কীটতত্ত্ববিদদেরকে রাখতে হবে। কিভাবে ফুটপাতের নীচে ড্রেন তৈরি করলে একই সঙ্গে পানি অপসারণ হবে আবার মশার প্রজননও যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।  

আতিকুল ইসলাম সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান, যার যার আঙিনায় ডোবা-নালা ইত্যাদি পরিষ্কার করা হলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আমরা মশক নিধন আমরা করি না। এগুলো আমাদের জন্য সম্ভব না। পাবলিক ড্রেন, খাল ইত্যাদি নিয়ে আমরা কাজ করবো।

আজকের অভিযানে ডিএনসিসির অঞ্চল ৪ এর অধীন মিরপুর ১০ নম্বর  এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। ডিএনসিসির সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও একসঙ্গে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করছেন। অভিযানে প্রায় এক হাজার ৪০০ মশক নিধনকর্মী মশার কীটনাশক প্রয়োগ করছেন।  

বুধবার (১০ মার্চ) অঞ্চল-৫ এর অধীন কাওরান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
এসএইচএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ