ঢাকা: জবাইখানার অভাবে শত শত কোটির টাকার রপ্তানিযোগ্য পশুর বর্জ্য নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (১৪ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত ‘সংবাদ সম্মেলন ও মুক্ত আলোচনা সভায়’ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বক্তারা বলেন, পশুর বর্জ্য রপ্তানি না হওয়ায় এগুলো এখন কুকুরের খাবার হচ্ছে। পচে যাওয়া বর্জ্য ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হচ্ছে।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা রবিউল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, পশু পালন উন্নয়নে বাধাগুলো চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশকে এর জন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। দেশের দ্বিতীয় রপ্তানিখাত এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ভারত পশু ও মাংস পাচার করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় গরু, মহিষ ও মাংস বাংলাদেশে পাচার বন্ধ করতে হবে। আমাদের চর ও বনাঞ্চলে ২০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণের মাধ্যমে পশু পালনের আওতায় আনতে পারলে এক লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, রপ্তানিযোগ্য পশুর বর্জ্য ও চামড়া শিল্পকে সচল করতে হবে। পরিবেশ ও যানজটমুক্ত করার জন্য ঢাকার চারপাশে গাবতলী, টঙ্গী, ডেমরা, পোস্তগোলায় একটি করে গরুর হাট ও জবাইখানা নির্মাণ করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হালাল মাংস আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
ডিএন/আরবি