ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দৈনিক জনকণ্ঠ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
দৈনিক জনকণ্ঠ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ দৈনিক জনকণ্ঠ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার গণছাঁটাই, পদন্নোতি, ইনক্রিমেন্ট না হওয়া এবং ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়া বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সাকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠে গণছাঁটাই শুরু হয়েছে। আমরা বেশ কিছু দিন ধরে শুনে আসছিলাম কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে চান। সোমবার (১৫ মার্চ) তার প্রথম দফা বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রথম দিন ৬০ জনের ছাঁটাইয়ের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিলো। এরমধ্যে ২৬ জনকে টার্মিনেশন লেটার ইমেল করা হয়েছে। পরে বিকেলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে দৈনিক জনকণ্ঠের সামনে সমাবেশ করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ বাকিদের আর টার্মিনেশন লেটার দিতে সাহস করেননি।

প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে একসঙ্গে এত মানুষের কর্মসংস্থান আসলে সম্ভব নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনি সহায়তা না করলে আমাদের পক্ষে আর কিছু করা সম্ভবও নয়। তাই বিষয়টি অনুধাবন করে একটি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, গত আট বছর ধরে দৈনিক জনকণ্ঠে কোন পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট হয় না। এখানে অধিকাংশ সাংবাদিক-কর্মচারী ওয়েজবোর্ড পান না। আট বছর ধরে একই বেতনে কাজ করতে গিয়ে আমাদের সংসার আসলে চলে না। আট বছর আমরা অপেক্ষা করেছি। এখন সকলের দাবির প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নিয়ম তান্ত্রিকভাবে ট্রেড ইউনিয়ন আইনের মধ্যে থেকে আমরা সকলের ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্টের দাবি করেছিলাম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে দাবি মানা তো দূরের কথা উল্টো আমাদের ছাঁটাই করে দেওয়া হলো। যখন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শত বছরের জন্মদিন পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পেটে লাথি মারা হলো।

জনকণ্ঠের এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, সোমবার আমরাও সরকারের নানা মহলে যোগাযোগ করেছি। রাত ১২টায় আমরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছি। সেখান থেকে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। আমাদের বলা হয়েছে আগামী ২০ তারিখে সরকার, মালিকপক্ষ এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। আমরা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।