ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে নামছে পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে নামছে পুলিশ রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বক্তব্য রাখছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এক বছর পার হয়ে আবারও দ্রুতই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ অবস্থায় জনসাধারণের মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আবারও মাঠে নামছে পুলিশ।

তবে আপাতত বাধ্য নয়, স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাঠপর্যায়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক ও জীবনধারা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২১ মার্চ থেকে 'মাস্ক পরার অভ্যেস, কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচীর আওতায় মাঠপর্যায়ে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুপ্রেরণা ও উদ্বুদ্ধ করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সাড়ে ১১ টায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

আইজিপি বলেন, জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে আগামী ২১ মার্চ থেকে বিশেষ কর্মসূচী শুরু করবে পুলিশ। জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা, প্রেসনা ও অনুপ্রেরণা যোগাতেই এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জেও জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা হবে, প্রযোজনে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হবে।

জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কখনোই মাস্ক নিয়ে আসতে ভুলবেন না, ঘর থেকে বেরুনো মানেই মুখে মাস্ক। অর্থনীতি ও জীবন চালিয়ে যেতে হবে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে।

মাস্ক নিশ্চিত করতে বাধ্য করার পরিবর্তে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। সবাই নিজের জন্য, পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

সমাবেশ-গণজমায়েতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো পরিহার করাই ভালো। একান্তই যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই অনুমতি নিবেন এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবেন।

লকডাউনের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ মূহুর্তে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বেপরোয়া চলাফেরা কঠোরভাবে পরিহার করতে পারলে আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। আর বেপরোয়া চলাফেরা অব্যাহত থাকলে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে মোড় নিতে পারে।

আইজিপি বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এই বছরের শুরুতে করোনা পরিস্থিতি মোটামোটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু চলতি মাসে আবারও করোনার উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই পুলিশ কখনোই দায়িত্ব থেকে পিছপা হয়নি, বরং দায়িত্বের বাইরে গিয়ে গণমানুষের সঙ্গে ছিলাম।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮৭ জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার সদস্য। এবারও আমরা গণমানুষের সঙ্গে মিলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
পিএম/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।