গাইবান্ধা: পারিবারিক কলহের জের ধরে গাইবান্ধা সদরে গৃহবধূ শারমিন আক্তারের (২৭) শরীরে আগুন দিয়ে ঝলসানোর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী কোরবান আলী (৩০) ও শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অগ্নিদদ্ধ শারমিনের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে গৃহবধূর স্বামী কোরবান ও শাশুড়ি কুলসুমকে আসামি করে গাইবান্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে কাবিলের বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকায় এ ঘটলেও দিনভর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে দগ্ধ ওই নারীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গৃহবধূ শারমিন গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকার কোরবান আলীর স্ত্রী। শারমিনের বাবার বাড়িও একই এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে কাবিলের বাজার এলাকায় ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবানের সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিনের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে শারমিনকে নির্যাতন করতেন স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিটের পর তার শরীরে গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম।
দিনভর যন্ত্রণায় কাতরালেও তাকে নেওয়া হয়নি হাসপাতালে। যন্ত্রণায় গলা শুকিয়ে এলেও দেওয়া হয়নি পানি। বিষয়টি জানাজানি হলে বাবার বাড়ির লোকজন এসে দিনগত রাত ৯টার দিকে শারমিনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ( আএমও) হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, আগুনে গৃহবধূ শারমিনের শরীরের ৮৫ ভাগ ঝলসে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এনটি