ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। এসময় পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বিকল্প রাস্তা হিসেবে শাপলাচত্বর থেকে ফকিরাপুল হয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় মতিঝিল শাপলাচত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার পর মতিঝিল এলাকা থেকে পুলিশ শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ ১১ জনকে আটক করে কাভার্ডভ্যানে করে নিয়ে যায়।
ফেসবুক লাইভে রফিকুল ইসলাম ওরফে শিশুবক্তা বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সম্মানিত দেশবাসী আপনারা দেখছেন পুলিশ আমাদের ধরে পুলিশভ্যানে নিয়ে আসছে। এ আমাদের আরও কিছু ভাই, (আটক কয়জনকে দেখান) আমরা আসলে দেশের বিরুদ্ধে না। ইসলামের বিরুদ্ধে না। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা আহত করেছে। আমি বলবো আমাকে আঘাত করা বা দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা দেশবিরোধী না, ইসলাম বিরোধী না। আমরা মোদীর বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেও জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
ওএইচ/