ঢাকা: রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ ভবনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
পরে ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা, সাফল্য ও সাম্প্রতিক অর্জন’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ের মধ্যে আছেন এবং থাকবেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আছেন। বঙ্গবন্ধুকে আমরা হৃদয়ের মধ্যে ধারণ করেছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের গর্বের এবং অহংকারের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেছি বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীগোষ্ঠিকে মানুষ গ্রহণ করেনি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে.এম তারিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়; সমগ্র পৃথিবীর জন্য প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অমর্ত্য সেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শ এখনো পৃথিবীর জন্য প্রাসঙ্গিক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান, বঙ্গবন্ধু দেখিয়ে দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হওয়ার পরেও একটি রাষ্ট্র কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে পারে। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা কখনোই এগিয়ে যেতে পারবো না। এটা প্রমাণিত হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধুর নাম, জয়বাংলা স্লোগান এবং ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে উল্টোভাবে তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে উল্টোপথে পরিচালিত করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই, এ স্লোগান দিতে গিয়ে অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরকে দিয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করানো হয়েছিল। একটা রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল এবং তাদের সংসদে আনা হয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনে সংসদ নেতা বানানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু মানেইতো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২১
এমআইএইচ/এনটি