সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটি টুঙ্গিপাড়ায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে বেড়িবাঁধে প্রায় ১০০ ফুট ধস নামে।
এর আগে সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে দুর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টার থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বেড়িবাঁধে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছিল।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিকনির্দেশনায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য জোয়ার আসার আগ পর্যন্ত কাজ করেন শত শত মানুষ।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন পাউবো সাতক্ষীরার কর্মকর্তারা জরিপ চালাচ্ছে। নাম মাত্র কিছু কাজও হয়েছে। কিন্তু তারা স্থানীয়ভাবে বেড়িবাঁধের কাজ করতে গিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কাজ শেষ করছেন।
ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় রিং বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। ডাম্পিং শুরু হয়েছে।
পাউবো সাতক্ষীরার এসও শাহনাজ পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, শ্যামনগরে যে ২৩টি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, তা চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে জায়গাটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, সেটি জাইকার একটি উপ প্রকল্পের আওতাধীন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছে। টেন্ডার ওপেন হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দাতিনাখালিতে আরও দু‘টি পয়েন্টের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে একটি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা পরিষদ সদস্য ডালিম কুমার ঘরামি বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনাটি আগে দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এসআরএস