রাজশাহী: রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে রোববার (৪ এপ্রিল)। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে ঝড় শুরু হয়।
এছাড়া মহানগরজুড়ে ধূলিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীর বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস পর্যন্ত সড়কে লাগানো দৃষ্টিনন্দন বাতির অনেকগুলো পোলই উপড়ে গেছে। মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকার মূল সড়কের ওপর একটি বিশালাকৃতির বিলবোর্ড উল্টে পড়ে যায়।
এতে প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই সড়কে আবারও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। এরপর পৌনে ৪টার দিকে শুরু হয় ধূলিঝড়। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। শহরে বৃষ্টি না হলেও রাজশাহীর বাঘা ও পুঠিয়াসহ আশপাশের উপজেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও আমের গুটি, পান ও ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঝড় শুরুর আগেই মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গোটা রাজশাহী শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রেজায়ানুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ৬৫ কিলোমিটার বেগে রাজশাহীর ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে।
সাধারণত বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার পার হলেই তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। তাই রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী বয়ে গেছে। আর মহানগরীতে না হলেও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটি মৌসুমী ঝড়-বৃষ্টি। ফাল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটা স্বাভাবিক। এজন্য এই মৌসুমকে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমও বলা হয়। রাজশাহীর তাপমাত্রা এখন বাড়ছেই।
রোববার দুপুরে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে কালবৈশাখী শুরু হয়। কয়েক দফায় সেই ঝড় চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, এই ঝড়ে আমের গুটির তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পান ও ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে পরে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এসএস/এএ