ঢাকা: সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
সড়েকে যাত্রীবাহী বাস না থাকায় অফিসাগামী মানুষকে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের পিছে ছুটতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে পরিবহনের জন্য প্রতীক্ষারত অগুণতি মানুষের ভিড় দেখা যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামসুর রহমান মিরপুর ১ নম্বর থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন মিরপুর ১০ নম্বরে। সেখানে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে গুলশানে যাওয়ার কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সরকার অফিস বন্ধ না করে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এভাবে কি সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা যায়?
তিনি বলেন, সোমবার আমার অফিস ছুটি হয়েছে বিকেল ৫টায়। কিছুটা পথ অটোরিকশায়, কিছুটা পথ রিকশায় আবার কখনো পায়ে হেঁটে বাসায় পৌঁছেছি রাত ৯টায়। রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা যে যেভাবে পেরেছে ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে। এত দুর্ভোগের মধ্যে আমাদের অফিস করতে হচ্ছে।
সাবরিনা সুমি নামে আরেকজন মিরপুর ১০ নম্বর থেকে যাবেন ফার্মগেটে। এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে কোন পরিবহন না পেয়ে রিকশাযোগে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সুমি বলেন, লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে অথচ অফিস খোলা আছে। চাকরি বাঁচাতে অফিস তো যেতেই হবে। চাকরি চলে গেলে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ে যাব। যত কষ্টই হোক আমাদের মতো কর্মচারীদের অফিস করতেই হবে। ১০০ টাকার ভাড়া রিকশা চালক নিচ্ছে ১৫০ টাকা। যে যেভাবে পারছে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। কে দেখবে আমাদরে সমস্যা?
রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল চালক মো. সোহেল বলেন, অফিসগামী মানুষ যে যেভাবে পারছে সেভাবে অফিস যাচ্ছে। কেউ রিকশা, কেউ মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগেই রাইড শেয়ারিং বন্ধ করেছে সরকার। কী করবো বলেন? রাইড শেয়ারিং করে যে কয় টাকা উপার্জন হয় তা নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় না বের হলে তো না খেয়ে থাকতে হবে। লকডাউনে পুলিশ মোটরসাইকেল ধরলেই হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার মামলা দেয়। এ কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
এমএমআই/এমজেএফ