ঢাকা: দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার। সংক্রমণ রোধে লকডাউনে বর্ধিত ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে গণপরিবহন।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও প্রেসক্লাব এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গণপরিবহন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ পরিবহনে ছিল না। মাস্ক পরেই গণপরিবহনে যাতায়াত করতে দেখা যায় যাত্রীদের। লকডাউনের প্রথম দুই দিনের তুলনায় সড়কে কম দেখা যায় রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল।
এই দিন সকাল থেকেই গণপরিবহনগুলোতে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। দু-একটি পরিবহনে যাত্রীশূন্য চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কোম্পানির বাসকে সিট অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। একাধিক কোম্পানির বাস চালক ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় লকডাউনে বন্ধ থাকার পরে যেসব পরিবহন সড়কে চলাচল করেছে তাদের খরচের টাকা উঠেছে কোনো মতে। গণপরিবহনের কিছু মালিক টাকা পেয়েছে, আর কিছু মালিক একেবারেই টাকায় পাইনি পরিবহনগুলো থেকে।
বিকল্প পরিবহনে কন্ডাক্টর মো. সুমন বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনের সময় যে কয়দিন ডিউটি করেছি আমি আর চলক বেতন পেয়েছি। গাড়ির তেল খরচ আর অন্য খরচ দিয়ে আমাদের মালিক কোনো টাকা পায়নি। বাসায় বসে থাকলে তো আমাদের কেউ টাকা দেবে না তাই আমি আর ওস্তাদ (চালক) ডিউটি করছি।
রব রব পরিবহনের চালক মো. আরমান বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনের মধ্যে যে কয়দিন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি আমি আর আমার হেল্পার বেতন পেয়েছি। গাড়ি তেল ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে মালিকের হাতে কোনো টাকা দিতে পারিনি। গতকাল মালিকের কাছে উল্টো ৪০০ টাকা পাওনা হয়েছি।
রাজধানী পরিবহনের যাত্রী মো. সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যাত্রীরা সবাই মাস্ক পরেই পরিবহনের যাতায়াত করছি। সড়কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন। বাড়তি ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে গণপরিবহন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এমএমআই/কেএআর