ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কম দামে রাজশাহীতে মিলছে ডিম-দুধ ও মুরগি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
কম দামে রাজশাহীতে মিলছে ডিম-দুধ ও মুরগি

রাজশাহী: করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে ভোক্তাদের দোরগোড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে দুধ, ডিম ও মুরগি ন্যায্যমূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এর আওতায় করোনাকালে প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে রাজশাহীতেও কমদামে ডিম, দুধ এবং মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে রাজশাহী জেলা সদরে একটি ও নয়টি উপজেলায় নয়টি পিকআপভ্যানে করে এসব সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ পিকআপভ্যানে ৫০০ লিটার দুধ, দুই হাজার পিস ডিম ও ২৫০ কেজি মুরগির মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতা স্বার্থ বিবেচনা করে বাজারমূল্য অপেক্ষা অনেক দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানে করে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে এসব পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার মূল্যের চেয়ে সস্তায় এসব পণ্য পাওয়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ভিড় করে এসব পণ্য কিনছেন। করোনাকালে এসব খাদ্যপণ্য পরিবারের সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাই সরকারের এমন উদ্যোগকে আজ স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট আসা শহীদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের আগের দিন বাজারে যেন আগুন লেগেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যেরই দাম চড়া। একে লকডাউন। তার ওপর মাহে রমজান। তাই বাজারে যেন কোনোভাবেই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থায় সরকার ন্যায্যমূল্যে পুষ্টিকর এসব পণ্য সামগ্রী বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় অনেক মানুষের উপকার হচ্ছে। এজন্য তিনি সরকার ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে রাজশাহী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, জেলা সদরে একটি ও নয়টি উপজেলায় নয়টি ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে এসব সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। রোববার (১১ এপ্রিল) এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। মোট ৪৫ দিন ধরে তাদের এই কার্যক্রম চলবে।

ক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বাজারমূল্য অপেক্ষা অল্প দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন। যোগ করেন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।