ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কঠোর লকডাউনের আগেই শহর ছাড়ার হিড়িক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
কঠোর লকডাউনের আগেই শহর ছাড়ার হিড়িক

রাজশাহী: বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী সাতদিন কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে।

তাই শহরে আটকে পড়ার আশঙ্কা থেকে হিড়িক পড়েছে শহর ছাড়ার।

বিশেষ করে শেষ দিন যেন শহর ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। দূরপাল্লার সব পরিবহন বন্ধ। তাই আন্তঃজেলা রুটের বাসগুলোও আজ গণপরিবহনে রূপ নিয়েছে। এই পরিবহনগুলো সকাল থেকে উপজেলা পর্যায়ে চলাচল করছে। তবে তার সংখ্যা খুবই কম। লকডাউনের ঘোষণায় বিকল্প উপায়ে শহর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।

সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও এসব পরিবহনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা বাসে জায়গা পাচ্ছেন না তারা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, হিউম্যান হলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়েই নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। এজন্য রাজশাহীর বাসস্টপেজ ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো ভিড় লেগেছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট, ভদ্রা, তালাইমারী, এলাকা ঘুরে দেখা যায় যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও হিউম্যান হলারে চেপে গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। এসময় যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি বরাবরের মতোই লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া মহানগরীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ অন্য যানবাহনে নূন্যতম কোনো সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যাচ্ছে না। যানবাহনগুলোতে যাত্রীদের পাশাপাশি বসে যাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে।

দেখা যায়, যাত্রীদের কেউ কেউ ঠাসাঠাসি করে ভেতরে বসছেন। আবার কেউ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে বাসস্টপেজ ও বাসস্ট্যান্ডজুড়ে আছে যাত্রীদের ভিড়। অনেকটাই ঈদের বাড়ি ফেরার মতো অবস্থা। শেষ দিনের মতো আজ সকাল থেকে যাত্রীরা বাস না পেলেও যে যেভাবে পারছেন সেভাবে বাড়ি ফিরছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলো মনিটরিং করছেন।

তবে স্বল্প সংখ্যক জনবল থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ নিজে থেকে করোনা সম্পর্কে সচেতন না হলে পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মোকাবিলা অনেক ক্ষেত্রেই কষ্টসাধ্য বলেও এসময় উল্লেখ করেন এই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।