ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইফতার পণ্য কিনতে গিয়ে লকডাউন-স্বাস্থ্যবিধি উধাও

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
ইফতার পণ্য কিনতে গিয়ে লকডাউন-স্বাস্থ্যবিধি উধাও

ঢাকা: করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঢেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনের শুরু থেকেই মানুষের ঘরের বাইরে আসার প্রবণতা কম দেখা গেলেও ইফতার পণ্য কিনতে গিয়ে সেটি আর দেখা যায়নি।

বিকেলের পর ইফতারির সময় যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ পালন করার কথা ছিল উৎসবপ্রিয় বাঙালিদের। একই দিন ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন এবং চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা যায়। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ঘর থেকে বের হওয়া অনেককেই। অনেকেই আবার খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকেও বের হননি।

তবে ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার পণ্য বিক্রি করা দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে, আছরের নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদের আশেপাশে থাকা দোকানগুলোতে মুসল্লিরা ভিড় জমান।

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকার ‘এ’ ব্লক বড় মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। নামাজ শেষে আশেপাশের দোকানগুলোতে ইফতার পণ্য কিনতে শুরু করেন অনেকেই।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত অফিস চলেছে তাই কোন বাজারসদাই করতে পারিনি। সারাদিন লকডাউনের জন্য সেভাবে বের হইনি। নামাজ পড়ে ফেরার পথে দোকান খোলা দেখে কিছু জিনিস কিনছি।

আশরাফ কায়সার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, দোকান তো খোলা রাখা হয়েছে। দোকান তো আর বন্ধ নেই। তাহলে কিনতে সমস্যা কোথায়?

এদিকে দোকান খোলা থাকার সময় কম হওয়ায় এবং প্রথম রমজান হওয়ায় দোকানে ভিড় বেশি বলে মনে করছেন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এর জন্য সামাজিক দূরত্বের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না বলেও জানান তারা।  

স্থানীয় একটি হোটেলের ম্যানেজার কাইয়ুম মোল্লা বলেন, ধরেন আমরা হালিম বা জিলাপি বিক্রি করি। এগুলো দুপুর বেলা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। ইফতারির আগে আগে সবাই গরম গরম চান। আবার দোকান বেশিক্ষণ খোলাও রাখা যায় না। অন্যদিকে আজ প্রথম ইফতার। সব মিলিয়ে একটু চাপ বেশি। এখন এই চাপের মধ্যে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড় করানো খুবই কঠিন। যারা কিনতে আসছেন তারা এতকিছু শোনে না। কয়েক রমজান গেলে চাপ এমনিতেই কম আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।