নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। লকডাউনে সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করছে জেলা পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (২১ এপ্রিল) জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ইতোমধ্যে ছয়জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের সবাই কনস্টেবল। এরা ভালো আছেন এবং বাড়িতেই আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সদস্যদের ভ্যাকসিন দিয়েছি। তারা এই দুর্যোগে কাজ করছেন লকডাউন নিশ্চিত করতে। মানুষকে ঘরে রাখতে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়। এছাড়া তল্লাশি চৌকিগুলোতেও দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের সদস্যরা লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে, তল্লাশি চৌকিতে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত আমরা সুস্থ আছি, আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। অধিকাংশ সদস্যদের আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। এর মধ্যে আমরা তাদের নিয়মিত জিংক ট্যাবলেট, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডিসহ নানা খাদ্য যা করোনা রোধে এন্টিবডি তৈরি করে এমন খাবার দিচ্ছি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ আনোয়ার বলেন, আমাদের ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত আছেন এবং খানপুর ৩শ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্ত আছেন ৯ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা আমাদের আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং তারা বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। আর সাধারণ মানুষ যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আমরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমের সেবা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
এএ