ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মনের তাগিদ থেকেই করোনা আক্রান্তদের কাছে ছুটে যাই: এমপি কমল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
মনের তাগিদ থেকেই করোনা আক্রান্তদের কাছে ছুটে যাই: এমপি কমল করোনা রোগীকে দেখতে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই বেশিরভাগ মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আর কেউ পরিবার-পরিজনসহ আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি হয় আরও অনেক ভয়াবহ।

এমন দুঃসময়ে একজন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্যের (এমপি) মত মানুষকে কাছে পাওয়া, তার মুখের অভয়বাণী বা পাশে থাকার আশ্বাস একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য অনেক প্রেরণাদায়ক।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেডজোনে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজারস্থ চিত্রগ্রাহক রোতাব চৌধুরী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে পাশে পেয়ে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নিজের ছেলে বাবার কাছে যায় না, বাবা ছেলের কাছে যায়নি এমনকি মৃত্যুর পরেও ছেলে-মেয়ে কাছে যায়নি এমন নজির অসংখ্য। এমন অবস্থায় এমপি কমল নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বার বার করোনা রোগীর পাশে চলে আসেন, খোঁজখবর নেন। এটি মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত।

রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে মোবাইলফোনে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে এসব বলেন রোতাব চৌধুরী।

এর আগে একইদিন দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের দেখতে যান এমপি কমল। এ সময় তিনি আইসিইউ, এইচডিইউ এবং রেডজোন বেডে চিকিৎসাধীন রোগীর খবর নেন। এরপরে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি কক্সবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি করোনাক্রান্ত সোহেল আহমদ বাহাদুরের বাড়িতে যান তার ও পরিবারের অসুস্থ রোগীদের খোঁজ-খবর নেন।  এমপির ঘনিষ্টজন নীতিশ বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘন ঘন করোনা ইউনিট পরিদর্শন, করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে যাওয়া, এসব এমপি কমলের জন্য নতুন কিছু নয়।  

গত এক বছর ধরে তিনি এসব করছেন, তবে সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা তিনি এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হননি।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মানুষকে দেখানোর জন্য নয়, একদম মনের তাগিদ থেকেই আমি এই কাজগুলো করি। আমি নিজে আক্রান্ত না হলেও আমি অনুভব করতে পারি, করোনা আক্রান্ত হলে মানুষ কতটা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। অনেকে ভয়ে কাতর হয়ে যান। এই ভয় এবং মানসিক বিপর্যস্ততার কারণে অনেকের মৃত্যুও ঘটছে। তাই দুর্বল মনে একটু সাহস যোগাবার জন্য আমি ঝুঁকি সত্ত্বেও আমি মানুষের পাশে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা অনেকগুণ বেশি। তাই এর সংক্রমণ থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  

বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্র করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশেও করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশ-বিদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড খালি নেই, অপ্রতুল হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। তাই জাতির এমন সংকটে সচেতনতার বিকল্প নেই যোগ করেন এমপি কমল।

রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আক্রান্ত রোগীদের পাশে রয়েছেন আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। এটি মানবিকতার একপি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

যখন করোনাক্রান্ত বাবার কাছে সন্তান, সন্তানের কাছে মা, বোনের কাছে ভাই, স্ত্রীর কাছে স্বামী যায়নি এমন দুঃসময়েও তাকে আমরা করোনাক্রান্ত রোগীর মরদেহ দাফন করতেও দেখেছি-বলেন খালেদ শহীদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।