ঢাকা, বুধবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতফেরত পলাতক সেই ১০ করোনা রোগী চার জেলার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ভারতফেরত পলাতক সেই ১০ করোনা রোগী চার জেলার

যশোর: করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের নাম-ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ ছড়ানোর ভয়ে পলাকতকদের শনাক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন ও পুলিশ প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। তাদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ শুরু হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে যেসব পজিটিভ রোগী ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দশজন ভারতফেরত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে চিকিৎসার জন্য তাদের এ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সবাই পালিয়ে গেছেন।

পালিয়ে যাওয়া রোগীরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার পাঁচপাবাড়িয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ পাড়ার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার সোনতলা গ্রামের মনতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালী রাণী (৪০), খুলনার পাইকগাছার ভামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা চল এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা মহানগরের পূর্বলেন এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকান্দ সরকার ও রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা আক্তার।

তাদের মধ্যে মনিমালা, মিলন হোসেন, শেফালি রানী, আমিরুল সানা, সোহেল সরদার, বিবেকানন্দ সরকার ও নাসিমা আক্তার ভারতফেরত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক সিনিয়র নার্স বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু রোববার সকালের পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বলেন, করোনার ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে ‘পালিয়ে যাওয়া’ রোগীরা যদি ভারতীয় ধরনের করোনা বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দাবি, মাত্র দুজন রোগী পালিয়েছেন। হাসপাতালে দেওয়া নাম ঠিকানা ঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব।

তবে, দশজন পালানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর শঙ্কাং সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের ভাবিয়ে তোলে। পরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলিপ কুমার রায় পলাতক ১০ জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ইউজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।