রাঙামাটি: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ এম আবদুল আলীর ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এ শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।
এ সময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রাণী রায়সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ এম আবদুল আলী ১৯৭০ সালে ২০ নভেম্বর এসডিও তথা মহকুমা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে রাঙামাটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি রাঙামাটির মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল সীমান্ত দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে রাঙামাটি এলে ডিসি বাংলো ঘাটে তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ১২ দিন তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় পাকিস্তান বাহিনী। এরপর একই বছরের ২৭ এপ্রিল তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে কাপ্তাই হ্রদে ফেলে দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নামে রাঙামাটি শহরের পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় একটি শহীদ বেদী নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও তার নামে শহরে একটি স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এসআরএস