ঢাকা: চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে।
রোববার (৯ মে) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ছয়টি বিভাগের আওতাধীন সব জেলার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা, মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে ছয় লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় ওজনের অতিরিক্ত ধান নেওয়া যাবে না এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল, রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেওয়া যাবে না। যদি কোনো মিলার তা দেয়। তবে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনোভাবেই সেই চাল গ্রহণ করবে না। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস