রাজশাহী: বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের দিন সকাল ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) দরগা স্টেটের তত্ত্বাবধায়ক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ও সঙ্গে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন-মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করবেন মসজিদের সহকারি ইমাম হাফেজ রেজাউল করিম।
অপরদিকে, ঈদের আরও একটি বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সাহেব বাজার বড় মসজিদে সকাল ৮টায়। এখানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল সকাল ৯টায়। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়।
এদিকে, গতবারের ঈদ-উল-ফিতরের মত এবারের ঈদ জামাতও ঈদগাহে হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও মুসল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে নিজ নিজ এলাকার মসজিদেই। ঈদ জামাত পড়তে আসা সাবাইকে মানতে হবে সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি।
সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটিই নির্ধারণ করে দেবে ঈদের নামাজের সময়সূচি। করোনার কারণে রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামতো নামাজের সময় নির্ধারণ করবে। তারপর মাইকিং করে ঈদের আগের দিন জানিয়ে দেবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আবদুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যেহেতু এবারও ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে না, তাই সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।
মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করবে। তবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই বেশিরভাগ মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) এক বার্তায় বলা হয়েছে, করোনার ঝুঁকি বিবেচনায় এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য মাস্ক পরিধান, কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরুত্ব বজায় ও এক কাতার অন্তর দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে মুসল্লিদের।
এছাড়া ঈদ জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলোনা পরিহারের বিষয়েও ধর্ম মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানতে হবে। মসজিদের মধ্যে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারি বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২১
এসএস/এমআরএ