ঢাকা: পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। একটি নামী বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিও ভালো না লাগায় ছেড়ে দিয়েছেন।
অন্যকোথাও বাসা ভাড়া নিয়ে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। এমনকি খরচ যোগাতে কিনেন একটি রিকশাও। আচমকাই সংসার বিবাগী হয়ে নিজের মতো করে করছিলেন জীবনযাপন।
এদিকে, ওই ব্যক্তির কোনো খোঁজ না পেয়ে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন পরিবার। মামলার তদন্তে মোবাইল কলের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশ তাকে ঘরে ফেরাতে সক্ষম হন আর অপহরণ মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে এক সংসার বিবাগীর গল্প।
পুলিশ জানায়, মিরপুরের বাসিন্দা এক যুবক পড়াশোনা শেষ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এমনকি একটি বেসরকারি ব্যাংকেও চাকরি করেছেন তিনি। ভালো না লাগায় অন্যান্য চাকরির মতো ছেড়ে দেন ব্যাংকের চাকরিও। পরিবারের প্রতিও তার অনিহা চলে আসে।
একসময় স্ত্রীর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে কেনাকাটার নাম করে নিজের জমানো টাকাসহ ঘর থেকে বেরিয়ে যান ওই যুবক। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, রাত পেরিয়ে ভোর, কিন্তু তার খোঁজ না পেয়ে পুলিশের সহায়তা নেন স্ত্রী। মিরপুর থানায় গিয়ে দায়ের করনে অপহরণের অভিযোগ।
শনিবার (১৫ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, স্ত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী ওই যুবককে খুঁজে পেতে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। মোবাইল বন্ধ থাকলেও কখনো কখনো তার মোবাইল খোলা পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বাইরে বিভিন্নস্থানে তার অবস্থান দেখতে পায় পুলিশ। সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে পুলিশ।
অবশেষে ঢাকার আশুলিয়ায় তার খোঁজ মেলে। তিনি একাই একটি বাসা ভাড়া করেছেন। বাজারে মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন, কিনেছেন একটি রিকশাও। এভাবেই একাকী জীবনযাপন করছিলেন ওই যুবক। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন কথাই জানালেন তিনি।
অবশেষে সংসার বিবাগী ওই যুবককে ঘরে ফেরাতে সক্ষম হয় মিরপুর থানা পুলিশ। অপহরণ মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় বেরিয়ে আসে সংসার বিবাগীর গল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২১
পিএম/আরআইএস