ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে লঞ্চ শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২১
বরিশালে লঞ্চ শ্রমিকদের বিক্ষোভ  বরিশালে লঞ্চ শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

বরিশাল: যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চল।  

মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নৌ বন্দরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি শেখ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, একিন আলী, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

বিক্ষোভের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঈদে শ্রমিকদের এক কেজি সেমাইও কিনে দেননি লঞ্চ মালিকরা। লঞ্চ চলাচল না করায় অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা।

বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে লঞ্চের ওপর আরোপিত লকডাউন তুলে না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক। যাতে করে লঞ্চ শ্রমিকরা দু’বেলা খেয়ে বাঁচতে পারেন।

সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, লঞ্চমালিকরা যদি শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ না করে, সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয় তাহলে আমরা পণ্যবাহী নৌযান অবরোধের ডাক দিতে পারি।  

তিনি আরও বলেন, লঞ্চ মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের হয়ে কথা বলবেন না, কারণ তারা সরকার দলীয় লোক। অথচ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান শ্রমিকদের জন্য আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এখন বাস সিমিত পরিসরে হলেও চলছে। অথচ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি এসপি মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, বরিশালের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্ট শ্রমিকদের পক্ষে কোনো কথা বলছেন না।

মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করবো। আমরাতো বলছি সরকারি সব নির্দেশনা মেনে লঞ্চ চালাবো। এরপরও অনুমতি না পেলে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই সরকারকে সহায়তা করতে। সেসঙ্গে কাজ করে আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখতে।  

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ নিয়ে নদী বন্দর প্রদক্ষিণ করেন নেতারা।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।